ঈদুল ফিতর সংখ্যা-২০২০
ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মাহর সবচে বড়ো উৎসব। প্রতিবছর ঈদের অনেক আগে থেকেই শুরু হয় ঈদের প্রস্তুতি। সর্বত্র বিরাজ করে উৎসব উৎসব ভাব। রমজানের শেষদিকে বিপণীবিতানগুলোকে থাকে উপচে পড়া ভীর। জীবিকার সন্ধানে শহরে ছুটে আসা মানুষগুলো ঈদের ফুসরতে গ্রামে ছুটে যায় শিকড়ের আহবানে, নাড়ির টানে। আত্মীয় পরিজন নিয়ে একত্রে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার মাঝে খুঁজে পায় বেহেশতি আনন্দ। ঈদের জামাতে চেনা-অচেনা মানুষগুলোর সাথে ঘটে মহামিলন। সবার মাঝে পুণর্মিলনের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সে উৎসব এখন বিস্বাদে রূপান্তরিত হয়েছে। কোথাও নেই ফুর্তির আমেজ। সবার মাঝে একটা শূণ্যতা। সবার মাঝে আতঙ্ক। এই প্রথমবারের মতো বিশ্ববাসী একটা বিস্বাদময় ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছে। নবীন লেখকদের কলমের কালিতে সেই বিস্বাদের চিত্র কিছুটা ফুটে উঠেছে। প্রবীন লেখকদের কাছ থেকে নতুন লেখা নিতে না পারায় তাঁদের নিতুন অভিমত থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। সেজন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। সামনে শুধু প্রবীনদের লেখা নিয়ে একটা ঈদ সংস্করণ করার আশাবাদ এবং সবার সুস্থতা কামনা করে আজ এ পর্যন্তই। - সম্পাদক
সা জ জা দ হো সা ই ন খা ন
ঈদ আসে ঈদ যায়
ঈদ আসে ঈদ যায় ঈদ থাকে ঝুলে
হৃদয়ের রেণু মেখে গোলাপের ফুলে।
আকাশের ছাদ ভেঙে ঈদ উঠে হেসে
ঈদ হাঁটে তারাদের গাঁও ঘেঁষে ঘেঁষে।
জাফরানি খুশবুতে ঈদ ঝুরঝুর
ঘরে ঘরে নাচে তাই খুশির দুপুর।
ঈদ আসে ঈদ যায় ঈদ অফুরান
ফজরের ঘুম হাওয়া দোয়েলের গান।
রঙমাখা প্রজাপতি জোনাকির বাতি
ঈদ যেন সাগরের ঢেউ মাতামাতি
সূর্যের দড়ি বেয়ে ঈদ নামে নিচে
উম উম্ ভালবাসা আসে পিছে পিছে।
সম্প্রীতি বন্ধন ঈদ তার নাম
স্নেহের সবুজ খামে মধু আনজাম
না সি র হে লা ল
ঈদের খুশি
রাত থম্ থম্ রাতের শেষে সকাল যখন হবে
মনের মাঝে ঈদের খুশি জমাট বেঁধে রবে।
ঈদের খুশি ঈদের খুশি বাঁকা চাঁদের হাসি
ফিরনি কাবাব পায়েস সেমাই দেব রাশি রাশি।
ঈদের খুশি সকাল বিকাল ঈদের খুশি রাতে
নতুন জামা নতুন কাপড় পরবো সবাই প্রাতে।
ঈদের খুশি বাড়ি বাড়ি ঈদের খুশি মাঠে
ঈদের খুশি শহর গঞ্জে ঈদের খুশি হাটে।
ঈদের খুশি ছেলে বুড়োর ঈদের খুশি নানার
ঈদের খুশি গরিব দুঃখীর দুঃখ কথা জানার।
ঈদের খুশি উদার আকাশ ঈদের খুশি দানের
ঈদের খুশি দুহাত ভরে উচ্ছল যত প্রাণের।
আ ফ সা র নি জা ম
শখ পূরণের ঈদ
সন্ধ্যা
রাতে দেখবে যেদিন হাসলো নতুন চাঁদ
বাড়িয়ে দিও বন্ধু তুমি ছোট্ট দুটি হাত
হাতের ভেতর ছড়ায় দেবো লক্ষ তারার ফুল
ফুলগুলোকে বিলিয়ে দিতে করবে না তো ভুল
ভুল করো না বন্ধু তুমি দিও সবার হক
ফুলের ভেতর লুকিয়ে আছে অনেক মনের শখ
শখ পুরনের আসলো ঈদের দিন
উঠলো হেসে আদম-পরী-জ্বীন।
রে দ ও য়া নু ল হ ক
ঈদটা সবার
ঈদটা সবার জন্য হোক
কালো-ধলোর বিভেদ ভেঙে
চাঁদটা হেসে উঠুক রেঙে
সবাই সবার অতি প্রিয়
মানুষ বলে গণ্য হোক।
যেই ঘরেতে নেইকো খাবার
অসুস্থতায় ভুগছে আবার
তার ঘরেও ঝরুক রহম
কোরমা-পোলাও অন্ন হোক।
পথের ধারে যেই শিশুটি
উদোম দেহ নেই কিছুটি
তার গায়েও নতুন জামা
জড়িয়ে প্রসন্ন হোক।
যেই মানুষটা পলে পলে
স্বজন হারার শোকে জ্বলে
তার কাছেও ঈদটা এসে
অতুল ও অনন্য হোক।
ঈদটা সবার জন্য হোক
ধন্য চির ধন্য হোক।
সি
দ্দি ক আ বু ব ক র
আমার ঈদের জামা
আমার ঈদের গল্প বলি শোনো!
নতুন জামায় কাজ ছিলো না
ইস্ত্রি করা ভাঁজ ছিলো না
নেপথলিনের ঝাঁজ ছিলো না কোনো।
কেমন ছিলো সেই জামাটা জানো!
ধবধবে দুধসাদা।
আধেক জুড়ে স্বপ্ন ছিলো
তৃপ্তি ছিলো আধা,
মমতা ও আদর ছিলো
সুতোয় সুতোয় বাঁধা।
আজও ঈদের জামা আছে
জরিবুটির কাজ
স্যুটে বুটে হালফ্যাশন আর
বাহারি রঙ সাজ।
সব আছে ঠিক; কী যেনো নেই
কী যেনো নেই আহা
খলখলানো হাসির বানে
ঢেলে দিতাম যাহা!
জামা জুতায়
নানান ছুঁতায়
নকল খুশির ঈদ
আদর ভালোবাসার ঘরে
সিঁদ কেটেছে সিঁদ।
সৈ নি
ক কা ই
জা র
রুবাইয়্যাত
১)
সারাক্ষণ
শুধু
তোমার
ভাবনা
মনে
ঘুরপাক
খায়
স্বপনেও
আসে
সোনালি
বরন
চলে
যাই
অজানায়,
ক্ষণেক
যদিবা
ভুলেছি
তোমায়;
তোমার
ঠোঁটের তিল নিয়ে
ভাবি।
এরপরও
তুমি
ডাকবেনা
ইশারায়?
২)
আমার
হৃদয়
করেছি
টুকরো
সমান
কয়েক
ভাগে
অতি
প্রিয়
যারা
বিলিয়ে
দিবো
ভালোবেসে অনুরাগে
সাকি
তুমি
যদি
একবারও
দেখো
আমার
বদনখানি
পুরোটা
হৃদয়
তোমাকে
দিবো
সকলে
আসার
আগে।
মোঃ
আ মি নু ল ই স লা ম
সার্বজনীন ঈদ এবং
খুশির
ঈদের
ডঙ্কা
বাজে
শহর
বন্দর
গ্রামে,
ছেলে-বুড়ো
খোকা-খুকি
খুশি
ঈদের
নামে।
সাধনার
এই
সিয়াম
চর্চায়
মুখ্য
ধর্ম
পালন,
ঈদ
আনন্দ
খুশির
বার্তা
সারাটা
মাস
লালন।
নানান
রঙে
পোষাকি
সাজ
চক্ষু
জুড়ায়
ঈদে,
দীনের
খুশি
রাস্তায়
লুটোয়
কান্না
ভাসে
হৃদে।
হালুয়া
আর
ফিরনির
স্বাদে
তৃপ্ত
বিত্তের
রসনা,
বস্তিবাসী
ঈদের
প্রাতে
জুঝে
পেটের
বাসনা।
উচ্চের
পোষাক
দেখে
আর্ত
স্বপ্ন
চিত্র
আঁকে,
ছেঁড়া
কাপড়
ঈদের
সকাল
শুধু
লজ্জা
ঢাকে।
স্বামী
হারা
দুখিনী
মা
শিশুর
দুগ্ধ
যাচে,
অনাহারে
অর্ধাহারে
ঈদের
দিনও
বাঁচে।
বাতির
নীচে
অন্ধকার
কি
চক্ষু
এড়ায়
কভু?
পরীক্ষাটা
উচ্চের
তরে
রাখলাম
মহান
প্রভু।
ঈদ
আনন্দ
সর্বজনীন
ধর্মের
আচার
জানি,
ধনীর
ধনের
সঠিক
বণ্ঠন
করি
নিয়ম
মানি।
অনাথ
দীনের
ঈদ
আনন্দ
চাঁদের
মতো
হাসবে,
ঈদের
মাঠে
বিত্তের
দলে
আর্ত
সুখে
ভাসবে।
জা হা
না রা ম জু ম দা র
দুর্দিনের ঈদ
এখন
এ
পৃথিবীর
অন্ধকার
সময়;
নগর
বন্দর
শহর
গ্রাম
পথঘাট
স্তব্ধ
শোকাবহ
আলোর
শব্দ
শেল
পাখির
ডানার
ঝাপসা
গুঞ্জরণ
সময়ের
অজানা
সাগরতীরে
ধীরে
ধীরে
হৃদয়ের
ক্ষয়
সারি
সারি
শবের
বিবরণে
করোনা
মহামারীর
নিঃশব্দ
থাবায়।
এমনি
দুর্দিনে
শাওয়ালের
আকাশে
চাঁদ
নিয়ে
আসবে
ঈদের
পয়গাম
মহামিলনের
তরে।
কিন্তু
নেই
কোনো
সহবত
কোনো
কথা
বা
শব্দ,
এই
আকাশ
তারা
গ্রহ
নক্ষত্র
কিছুই
নেই
যেন
সব
ফুরিয়ে
গেছে
ঐ
পরিযায়ী
মজদুরদের
অশ্রুতে
ধুয়ে।
কৃ তি ক
ণা
অনুকবিতা
ঈদের চাঁদে খুশির পরাগ
জ্যোৎস্না হয়ে ঝরবে
ঘরে ঘরে রংবাহারী
সুখের আলোক জ্বলবে।
খ ন্দ কা র
লু ৎ ফু ন না হা র
ঈদের
তফাৎ
এলো খুশির ঈদ।
হাসছে খুকি নাচছে খোকা
গাইছে সুখের গীত।
আনন্দ যে আর ধরে না
করিম চাচার
ঘরে,
সারা বছর
পায়না কাপড়
ঈদেই শুধু
পড়ে।
এমনিতেই কি হয় সে কাপড়,
কেউ না দিলে পরে?
রমজান এলেই ধনীর ঘরে
হুমরি খেয়ে পড়ে।
যখনই তার
কারো সাথে
পথে যেতে হয় দেখা,
হাতটি পেতে বলে বাবা
দাওনা কিছু টাকা।
সারা বছর আশায় থাকি
দাও যদি হাত ভরে,
তবেই
না খোকা-খুকি
ঈদের কাপড় পড়ে।
ওইদিকে যে ধনীর দুলালী
রহিম মিয়ার মেয়ে-
আলমারিতে কাপড় দেখে
কোনটি পড়বে গায়ে।
দুই হাতে সে মেহেদি পড়ে
আলতা পড়ে পায়,
ঈদের দিনে চার-পাঁচবার
কাপড় সে পাল্টায়।
খাওয়া
দাওয়ার নেইকো জুড়ি
বাড়ি
ভোজন ভারী,
ঐদিকেতে
করিম চাচার
চুলোয়
বসে না হাড়ি।
ধন দুলালী সালাম করে
সালামি পায় কতো!
এসব দেখে খোকা-খুকি
হয় যে আশাহত।
করিম
চাচা অসুস্থ তাই
মা
ঝিয়ের কাজ করে,
ওখান
থেকে যে খাবার দেয়
নিয়ে
ফেরে ঘরে।
এমনি করে দিন চলে যায়
আসে কত ঈদ,
খোকা-খুকির সেই আনন্দে
চোখে নাইকো নিদ।
মোঃ জা কি র হো সে ন ভূ ই য়াঁ
অসময়ের
প্রানের শহরে
আমি এখনও বেঁচে আছি প্রাণের শহরে!
হ্যা, এখনও আছি যে এই অসুস্থ শহরে।
একদিন প্রাণ ছিল, ঘুম আসতো স্বপ্নের আহ্বানে।
গাড়ীতে ঠাসাঠাসি ছিল পিচঁঢালা রাজপথে
অলিতে গলিতে রিকসা ভ্যানের ছড়াছড়ি।
অগণিত মানুষ আর বাইসাইকেলে হামাগুড়ি-
রাজপথের রাস্তা কিংবা ফুটপাতের সবখানে।
আজ শূন্যতার আহ্বান এক হয়ে সব জনমতে
প্রথম স্থানে ছিল নষ্টদের তালিকা অনুসারে
তারপরেও রয়ে গেছি আমি তোমাদের ভীড়ে।
সবর্ত্র জনমানবহীন নীরব, নির্জীব, নেই কলরব।
বছর একুশে দেখিনি আমি, তার এমন অবয়ব
অনেকেই যাচ্ছে চলে সাড়া দিয়ে ওপারের ডাকে,
আমিও পথ চেয়ে আছি ধ্বংসস্রোতে নিয়ে আমাকে।
শেষ গলির শেষ বাড়িটার সেই মেয়েটা-
হরিণ চোখ! চলন ছিল বেশ ছটফটা।
চলার পথে ডাকতো আমায় হাতের ইশারায়,
মনের কথাগুলো বলে যেত চোখের ভাষায়।
ব্যর্থ প্রেমে রুদ্ধশ্বাসে কান্নায় আমার বুকফাটা
আজ কোথায় আছে সে কেউ জানে না।
নীরবে হারিয়ে গেছে কোথায়, কোন সুদূরে!
আজ চারিদিকে শুধু শঙ্কা, অসহ্য মৌনতা;
অঙ্কুরিত স্বপ্নে ভেসে আসে মৃত্যুর বারতা।
এই শহর আজ ঘুমিয়ে হয়েছে চির অচেনা,
আমি এখনো আছি রুদ্ধশ্বাসের অচেনা নগরে।
আমার হবে সারা হয়তো র্ব্যথতা নিয়ে ঘাড়ে।
মা ন সু
র মু জা ম্মি ল
যে পেয়েছে রমজান
রমজান ধৈয্য রমজান সহ্য রমজান আলো
রমজান কেটে দেয় যতো হৃদয়ের কালো।
রমজান নিয়মের- রমজান রুটিন
রমজান কম খান রমজান প্রোটিন।
রমজান ছোটদের বড়দের আর সকলের
রমজান সমজান- মসজিদ দখলের।
রমজান হেঁটে আসে সকলেরে বাঁচাতে
শয়তান রেখে দাও লৌহের খাঁচাতে।
সারাদিন রোজা রেখে খাও সবে ইফতার
ক্ষুৎ-পিপাসায় আছে যে ভিজিয়ে জিভ তার
যে পেয়েছে রোজা
সেই হোক সোজা,
রমজান হলো আল্লাহ্র আদেশ মনে রেখো।
তাকে বলো হতে তৈরি
সময়টা যে বেশ বৈরী!
যে পেরুতে চায় হে পুলসিরাতের সাঁকো।
তৌ ফি
ক হা সা ন
বর্ণহীন
ঈদের ডাক শুনি
পবিত্র
রমজান
হয়ে
এলো
বলে
শেষ
দুয়ারে
দাঁড়িয়ে
উঁকি
ঝুঁকি
ঈদ,
মহামারীর
কাল
ধোঁয়ার
বিষাক্ত
রেশ
ভয়াল
ছোবল
কেড়ে
নিছে
নিদ!
দাউ
দাউ
করে
জ্বলছে
মৃত্যুর
আগুন
মনে
আতঙ্ক
মহামারীর
বিষদাঁতে,
রমজানে
তারাবি
ঘরে
বসে
গুন
গুন
দোয়া-দরূদ
গৃহেতেই
দিনে
রাতে!
শ্রমজীবীরা
কর্মহীনে
খাদ্য
হাহাকার
লকডাউনে
অর্থনীতিতে
অচলতা,
মানব
মনের
সুখগীতি
উবে
মুখ
ভার
জীবন
তরীতে
কবে
যোগ
সচলতা?
ঈদ
কেনাকাটার
নেই
তো
আয়োজন
ছেলে
বুড়ো
মলিনমুখে
গৃহে
বন্দি,
রমজানে
ঘন
ঘন
বিধাতারেই
স্মরণ
অচল
দূর
হয়ে
সচলে
কবে
সন্ধি?
ক্ষুধার্ত
কত
মুখ
ছিন্ন
বস্ত্রে
মলিনতা
ঈদের
আনন্দ
ভাটা
পড়ে
শেষ,
উজ্জ্বল
ঈদে
রইবে
করুণ
নীরবতা
ভাইরাস
ত্রাসে
দ্যুতি
নিঃশেষ!
ঈদ
কোলাকুলিহীন
ফোনেই
কথন
ছোটদের
মজার
নেই
সেলামি,
মায়েদের
রান্নার
স্বাদ
হবেনা
গ্রহণ
কয়েদি
সাজেই
হবো
আসামি!
কি
আর
করা
ঘরেই
হবে
ঈদ
যাপন
গরিবের
মাঝে
খাদ্য
বস্ত্র
বিলি,
সামাজিকতার
সুখ
পাবে
না
আপন
ভাইরাস
তুই
সবই
কেড়ে
নিলি!
আ ল
মা মু ন
ঈদ এলো
ঈদ
এলো ভাই
ঈদ
এলো
চারিদিকে
তাই
খুশির
বন্যা।
নতুন
জামার
জন্য
কাঁদে
গরীব
দুখির
পুত্র-কন্যা।
তাদের
দুখে
আমরা
যদি,
দুঃখিত
ভাই
নাইবা
হই।
তবে
আমরা
মুসলমান,
বলো
কেমন
করে
রই?
ঈমানের
দায়
পালন
করে,
এসো
আমরা
হই
মুসলমান।
তবেই
রব
উত্তম
পুরস্কার
আমাদেরকে
করবে
দান।
র হ ম তু
ল্লা হ লি খ ন
আমি কলঙ্ক হতে চাই
আমি গোলাপ নয়,
কাঁটার সুবাস নিতে চাই।
আমি পিচঢালা পথ নয়,
গ্রামীণ ধূলোয় হাঁটতে চাই।
আমি মুগ্ধ জোছনায় নয়,
অমাবস্যাতে হাসতে চাই।
আমি সুমধুর কন্ঠে নয়,
অধিকারের বুলিতে আগুন ঝরাতে চাই।
আমি সবুজের ঘ্রাণ নয়,
মরা ঘাসের ধূসর বেদনা চাই।
আমি তৈলাক্ত জীবিতদের নয়,
বিপ্লবীর বুলেটে মোড়া হাড় চাই।
আমি মেকি সমাজের অভিনয় নয়,
ক্ষুধায় কেড়ে খাওয়া কুকুর চাই।
আমি বইয়ের পাতার লেখা নয়,
ডাস্টবিনে আধ খাওয়া সিংগাড়া চাই।
আমি আদরের লালা দেয়া শরবত নয়,
অপুষ্টিতে পলিথিনে ভাতের মাড় চাই।
আমি বহুল আলোচিত মানুষের মত মানুষ নই,
অবজ্ঞায় নাক সিটকানো কলঙ্ক হতে চাই।
রা সে দু
ল হা সা ন রা সে ল
আমি যেথায় যেমন
মানুষ যেখানে ক্ষুধায় কাতর,
বাতাসে শুনি ক্রন্দনরোল
আমি সেখানে সাম্যবাদী এক-
বিদ্রোহী কবি নজরুল।
ধরণীর যেথায় অন্যায়-অবিচার,
বিভীষিকাময়
আর অশান্ত।
আমি সেথায় প্রতিবাদী সেই-
কিশোর কবি সুকান্ত।
যেখানে আছে সুখ আর সুখ,
নাই রে কোনো দ্বন্দ্ব।
আমি সেখানে প্রেমের কবি,
রূপসী বাংলার জীবনানন্দ।
দেখি যেথায় পল্লীবালা,
সুখে কাটায় দিন।
আমি সেথায় সহজ মানুষ,
পল্লীকবি জসীমউদ্দিন।
চি ত্র
ক র ম নি রু জ্জা মা ন মা নি ক
দোয়া মাগি
(দোয়া ইউনুস এর বঙ্গানুবাদ থেকে)
হে
মহান,
হে
মহামহিম!
আঁধার
তলে
বিশ্ববাসী;
ভুল
করে
যে
দিশাহারা
মুক্তির
লাগি
সবে
কাঁদি।
হে
ইলাহি,
হে
দরদী!
তুমি
মোদের
মা'বুদ
জানি,
তুমি
ছাড়া
উপাস্য
নাহি।
একক
তুমি,
তোমায়
স্মরি
হে
প্রভু!
তোমার
ইবাদত
করি।
স্রষ্টা
তুমি
মহাজ্ঞানী
পুত
পবিত্র
নূরের
জ্যোতি
সকল
সৃষ্টির
লীলা
রথী
তোমার
গুনের
প্রচার
করি।
বিপদ
মহা
বাঁচাও
প্রভু!
মাছের
পেটে
ইউনুস
নবী-
ডাকলো
তোমায়
দোয়া
চাহি,
তোমার
দয়ায়
পেল
মুক্তি।
আমরা
নিশ্চয়
পাপী
তাপী
তাই
তো
দিচ্ছ
শাস্তি।
বান্দা
তোমায়
নিদান
কালে
দোয়া
ইউনুস
পাঠে
ডাকে
যদি
ঝড়
তুফানে
ডুববেনা
তো
খেয়া
তরী
প্রকাশীলে
তোমার
বাণী।
দুঃখ
কষ্ট
ক্ষুধা
ঝরা
ব্যাধি
মহিমারী
গুনে,
লওগো
তুলি।
বিপদে
এক
তুমি
রক্ষাকারী
হৃদয়
থেকে
ক্ষমা
চাহি,
তোমার
বাণীর
তসবি
জপি
মাফ
করে
দাও,
দোয়া
মাগি।
লা ভ লী
ই স লা ম
বিবেক করি সজাগ
লকডাউনে রোজা শেষে
ঈদ এসেছে দুয়ারে
দুয়ার খুলে সাদরে বরণ
করবো তারে আদরে।
যেমন ছিলাম গৃহমাঝে
তেমনি ঈদ উৎসব
পরিবারের সবার সাথে
ঘরবন্দি সব বান্ধব।
যা আছে আপন নিজ ঘরে
ধোয়া কাপড় পরে
রেখেছে আল্লাহ্ যা রিজিকে
খাবো আনন্দ করে ।
ঈদের খুশি আল্লাহর দান
হবো না তো বিরাগ
প্রতিবেশীর থাকলে অনটন
বিবেক করবো সজাগ।
হা সা ন
মা হ মু দ
বাঁচলে আবার
বাঁচলে আবার মুক্ত বাতাসে পাখির মতো উড়বো,
চিড়িয়াখানা, জিয়া উদ্যান শিশুর মতো ঘুরবো।
বাঁচলে আবার তারাবী সালাত একসাথে পড়বো,
বাঁচলে আবার ঈদের জামাত, কোলাকুলি করবো।
বাঁচলে আবার এই নগরের অলিগলি চষবো,
চা-কফি আর ইফতার খেতে একই সাথে বসবো।
বাঁচলে আবার কাঁনামাঁছি গোল্লাছুটও খেলবো,
পুকুর নদীর মিঠা জলে ডানা দুখান
মেলবো।
ঘরে থাকো
সুস্থ থাকো দেশের কথা ভাইবো,
তওবাহ করে
রবের কাছে ক্ষমা সবাই চাইবো।
মো ক্তা
র হো সে ন
ঈদ
ঈদ মানে আনন্দ আর,
সুখ দুঃখের ভাগ।
কে গরীব আর কেইবা ধনী,
বিভেদ ভুলা যাক।
সকাল বেলা গোছল করে,
নতুন জামা পড়ে।
মিষ্টিমুখ করে মোরা
ঈদগাহে যাই চলে।
নামাজ পড়ে দুহাত তুলে,
করি মোনাজাত।
হাসিখুশি মুখে মোরা,
করি মোলাকাত।
ঘুরে ঘুরে সবার বাড়ি,
দেখা করতে যাই!
বড়দের কাছ থেকে,
সালামিও পাই।
সবাই সবার বাড়ি গিয়ে
শিন্নি পায়েস খায়।
এতো সুন্দর ধর্মে কি আর
হিংসাকে মানায়?
ঈদ আমাদের হাসতে শিখায়,
ভালো করে মন।
এইভাবেই সুন্দর হয়,
আমাদের জীবন।
ই ম রা
ন শা হ্
এমন একটি ঈদ চাই
এমন একটি ঈদ চাই
সকল গরীব দুঃখির জন্য,
ঈদের দিনেও খাবার থালা
থাকে যাদের শূন্য।
নতুন পোশাকে সাজবে সবাই
আনন্দ হৈ –হুল্লোড়ে,
সেমাই-শিন্নির ঘ্রাণে মেতে
খোকাখুকু উঠবে খুব ভোরে।
ধনী-গরীব ভেদাভেদ
রইবে না আর সেদিন,
সবার বাড়ি সবাই যাবে
বাজবে খুশির বীণ।
ঈদের নামাজ পড়ে সবাই
মিলাবে কাঁধে কাঁধ,
সেই খুশির জোয়ারে ভাঙ্গবে
প্রতিবছর অনন্দের বাঁধ।
এমন একটি ঈদের জন্য
আশায় থাকি রোজ,
কোথায় পাবো হাসিখুশি
এমন ঈদের খোঁজ।
তবেই হবে ঈদের পূর্ণতা
সারা পৃথিবীটা জুড়ে
তবেই আবার ধরা দেবে
সুখপাখিটা ঘরের দুয়ারে।
মোঃ আ বু
ব ক র সি দ্দী ক
বেদনা বিঁধুর ঈদ
ঈদের চাঁদ
উঠবে আবার রমজানেরই শেষে,
আনন্দ কি
ফুটবে এবার কোন শিশুর মুখে?
চাঁদ দেখার
উৎসবে কেউ উঠবে এবার ছাদে?
ঈদের জামাত
হবে কিনা সেই শঙ্কায় কাঁদি অঝোরে
সত্তুর
বছর পার হলো, পৃথিবী এমন দেখে নি কভু আগে-
কোভিড ঊনিশ
নিয়ে এলো সর্বনাশ, ভাবলে মাথা ঘুরে।
মেয়ে-জামাই
আসবে এ আশাতে ধামরাই থেকে
রাতাসাইল
চাল এনেছে মা অনেক বলে কয়ে,
হরেক রকম
পিঠে করবে বলে ঝিটকা থেকে
এনেছে পাটালী
গুড়, রাখছে যতন করে,
নাতি-নাতনীকে
পরাবে বলে ঈদের জামা
করেছে সেলাই
গভীর রাত্র জেগে,
নতুন টাকার
কচকচে নোট
যোগাড় করেছে
ঈদের সালামী খাতে,
আজকে সবই
বৃথা যাবে, নীরবে চোখের জল সে মোছে।
ঈদের দিনে
পাড়া প্রতিবেশী ছেলে রঙ্গিন জামা পরে,
মেয়েরা
সব মাথায় ফিতা, ঠোঁটে পলিশ, পায়ে আলতা,
ঘুঙঘুর
নিয়ে ছন্দ তুলে হাটে,
মুখে তাদের
হরেক রকম খেলনা বাঁশি বাজে,
এবার ঈদে
এ সব আর যায় না দেখা পার্ক আর বিনোদন স্থলে।
রাস্তায়
বসে ফাতেমা বিবি চাকা লাগানো পিঁড়িতে বসে প্রতিবন্ধি
সমীর মিয়া
উচ্চ স্বরে আল্লাহকে ডেকে মরে,
নীলকান্ত
নাপিত ঈদের আগে খরিদার না পেয়ে বেজায় গেছে ক্ষেপে,
ব্রজেশ্বর
জুতা মেরামতের কাজ না পেয়ে,
বৌয়ের সাথে
বড়ই খিস্তিখেউড় করে।
ঈদের দিন
আজ।
তিতলী আমার
সাত সকালে উঠে,
ও দাদাভাই!
জামাকাপড় পরো,
ঈদের জামা
পরে মাঠে নামাজ পড়ে আস,
কোলাকুলি
করেই তবে কিন্তু আমার জন্য মজা নিয়ে ফিরো,
কেমন করে
বলবো তারে বাইরে যাওয়া,
কোলাকুলিতে
রয়েছে বড়ই মানা,
দুহাত তুলে
বলি ও দয়াময়,
এমন বেদনা
বিঁধুর ঈদ যেন আর না আসে এই ধরায়!
স জ ল ঘো ষ
রমজানের ঈদ
হিজরী সন ধরে
উদয় হতে অস্ত পারে
নিষ্ঠা ও ভক্তি ভরে রেখেছি উপবাস।
দিনান্তে সন্ধ্যা কালে
সবে মিলে কোলাহলে
করেছি পালন রোজা মাস।
অবশেষে এলো ক্ষণ
দিয়ে সবে প্রাণ মন
সারা গায়ে আতর গন্ধ মেখে।
প্রাতে সবে স্নান সেরে
নতুন বস্ত্র পরে
মেয়েরা দেয় সুরমা চোখে।
সব ভেদাভেদ ভুলে
একসাথে সবেমিলে
ঈদের সকালে মিষ্টি মুখ।
সব মান অভিমান
দূর হয় ব্যবধান
ভাগ করে নিয়ে সুখ দুঃখ।
হা জী
নু র মো হা ম্ম দ
হারানো
স্মৃতি
মন
চায়
আমার
সেই
সময়টা
আবার
ফিরে
পেতে
যেই
সময়ে
রোজ
সকালে
যেতাম
মাদ্রাসাতে।
মন
চায়
এ
জীবন
কাটাই
মায়ের
কোলে
চড়ে
মসজিদে
যাই
নামাজ
পড়তে
বাবার
দু'হাত
ধরে।
বই
স্লেট
নিয়ে
স্কুলে
গিয়ে
করি
লেখাপড়া
রংতুলিতে
ছবি
আঁকি
লিখি
গল্প
ছড়া।
শৈশবে
যে
আম
কুড়াতাম
কালবৈশাখীর
ঝড়ে
চৈত্র
মেঘের
গান
গাই
উঠানে
গড়াগড়ি
করে।
হারানো
সেই
স্মৃতিগুলো
শুধুই
মনে
পড়ে
সেই
সব
স্মৃতি
অতীত
হয়ে
আছে
অনেক
দূরে।
চাঁদনী
রাতে
দাওয়ায়
সবে
মাদুর
পেতে
বসে
শোলক
শুনে
দুলতে
দুলতে
ঘুমিয়ে
যেতাম
শেষে।
লা য় লা আ হ মে দ সে লি না
শঙ্কিত ঈদ
মাহে রমজানের বিদায় শেষে মন হতো বাঁধনছাড়া,
শাওয়ালের এক ফালি খুশির চাঁদ দেখে হতাম যে আত্মহারা!
চাঁদ রজনীতে হাসি খুশি মেহেদী রাঙানো হাত,
আনন্দে কখন যে কেটে যেতো খুশির এ রাত!
প্রমোদনের আশায় শৈশব কৈশোর যৌবনের ঈদ,
আত্মীয় স্বজনদের উপঢৌকন পেয়ে জাগ্রত হতো নিদ!
শবেবরাতের পর কেনাকাটার পরে যেতো ধুম,
কোভিড নাইনটিন করোনা ভাইরাস কেড়ে নিলো ঘুম।
অদৃশ্য করোনা ভাইরাস এসে করলো পৃথিবী ঘরবন্দী,
লাখো লাখো জীবন নাশ গবেষকরা কখনো করবে নাকো সন্ধি?
বিগত মহামারি প্লেগ,যক্ষা,কলেরা,গুটিবসন্ত লাখো লাখো মানুষের বিনাশকারী,
হোকনা করোনা মহামারি আগের থেকে ভয়াবহ শক্তিশালী।
লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণনাশ করোনা মহামারিতে,
গবেষকরা নিদ্রাহীন বসে নেই ভ্যাকসিন তৈরিতে।
মানুষের মুখে হাসি নেই চারিদিকে শুধু শুনি আতংক হাহাকার,
মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, বন্ধ হয়ে গেছে প্রবেশ দ্বার।
নীরবে রোজা গেলো ঈদ আসবে ঠিকই ধনী গরীবের দুয়ার,
হবেনা ঈদ জামাত, হবেনা কোলাকুলি, সাক্ষাত্কার!
হে খোদা কিসের ঈদ মোদের ?
খুশির বদলে শঙ্কিত বিচলিত!
মৃত্যু পিছু পিছু কখন লাশ হয়ে পড়ে থাকি ঘরে!
মা সু দ
রা না
করোনা ভাইরাস
বিশ্ব এখন নিঃস্ব হয়ে করছে আহাজারি,
আল্লাহ ছাড়া রক্ষা করার নেই কোন কান্ডারী।
বাদশা ফকির করে জিকির তোমারি দরবারে-
ওগো আল্লাহ ধ্বংস করো ভাইরাস করোনারে।
কেউ প্রবাসে, কেউ বা দেশে যে যেখানে আছে,
করোনা হতে মুক্তি সবাই চাইছে তোমার কাছে।
যত পাপ, করো মাফ ওগো দয়াময়,
তোমার ইশারায় জানি সব কিছুই হয়।
হে নিয়তি করি মিনতি আমি মাসুদ রানা
দয়াকরে রক্ষা করো হইতে করোনা।
রা
জ না চৌ
ধু রী
বাবা বিহীন ঈদ
ঈদ যে বাবা এসে গেলো
তুমি এলে না!
ঈদের বাজার করতে আমায় নিয়ে গেলেনা।
ঈদের কদিন থাকতে বাবা আসতে তুমি ছুটে,
সবার তরে মেয়ের নামটি থাকতো তোমার ভোটে।
বাবার ভোটের সফলতায় টাকার বৃষ্টি হতো,
মানি ব্যাগ বের করে হাসতো বাবা কতো।
এসে গেলো ঈদ যে বাবা এবার এলেনা!
জামা জুতো কিনতে বাবা নিয়ে গেলেনা।
মো হা ম্ম
দ ই য়া সি ন আ রা ফা ত
ক্ষমার ঈদ
খুশির পাহাড়
জাগলো আবার
এলোরে রমজান।
এক্বিন দিলে
সবাই মিলে
খাহেশাত দেই কুরবান।
তাওবা করি
আবার ফিরি
মহান রবের পথে
আশা তবে
ক্ষমা হবে
ঈদের নামাজ শেষে।