অনুসরণকারী

শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০

করোনা সংখ্যা












বিশ্ববাসী পার করছে কঠিন অথচ দীর্ঘস্থায়ী একটা সময়। একদিকে ঘরের বাহির হওয়া যাচ্ছে না করোনাভাইরাস নামক মহামারিতে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে। অন্যদিকে ঘরেও থাকা যাচ্ছে না জিবিকার তাগিদে। সারা দুনিয়ায় একটা সামগ্রিক সংকট চলছে। প্রিয়জনদের কাছে থেকেও একটা অসহ্য দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। লকডাউনে থাকা মানুষদের চিন্তাশীল প্রতিনিধিরা এ সময়টাকে কে কিভাবে চিন্তা করছেন- শীতলক্ষ্যার ’করোনা সংখ্যা’য় এর কিছুটা উঠে এসেছে।  - সম্পাদক 


আ সা দ  বি ন  হা ফি জ

ছড়ড়া-২৬৪৮
লকডাউনে

লকডাউনে ঠকটাউনে বেশ আছো
নেট থাকাতে খাচ্ছো বসে গোস্ত মাছও
নামতে হয় না পুকুর বিলে
হাসপাতালে অষুধ মিলে
এদিকে দেশ খাচ্ছে গিলে
করোনা, তা জানো?
এলান হলে রাজার হুকুম
সহজেই তা মানো
আমি ওসব মানিনা।
মানতে আমি পারি না
করোনাও মানুষ মারে
মানুষ মারে খিদে
মানুষ মারে স্বৈরাচারে
কারণ ছাড়াই, জিদে
খুনের ভয়ে থাকলে বসে ঘরে
কেউ না মারলেও নিজেই সে যে মরে
আমায় তুমি মরতে বলো?
খেয়েই তবে মরি।
তাইতো আমি তোমার জন্য
এখনো মাছ ধরি
না না দাদা, ত্রাণ পাইনি
সব নিয়েছে চেয়ারম্যান।
তিনি খুবই লোক হুশিয়ার
নিজেই নিজের কেয়ার নেন।
রিলিফ এলে তিনি কি তা
অন্য কাউকে শেয়ার দেন?
আমরা যদি সালাম দেই
তিনি হেসে পেয়ার দেন
আচ্ছা, আচ্ছা, ব্যস্ত আপনি?
ঠিক আছে ভাই রাখি।
আমি যদি মরেই যাই
খবর দেবে পাখি।

ছড়ড়া-২৬৫১
করোনা তুই থাক

বেশ তো আছি ভালো
এখনতো আর কেউ বলে না
জ্বালো আগুন জ্বালো
রাজপথে নেই মিছিল টিছিল
করতে হয় না গুলি
সকাল বিকাল কেউ নেয় না
গায়ের চামড়া তুলি
ফেলানীরও মরতে হয় না
কাঁটাতারে ঝুলে
নিতে হয় না কাউকে জেলে
নিতে হয় না শূলে
পথে শুধু আর্মি পুলিশ
সঙ্গী মুজিব কোট
কেউ বলে না নির্বাচনে
করছি চুরি ভোট
ঘোট পাকায় না মোল্লাগুলো
মসজিদ ঘরে বসে
কেউ বলে না আমার মুখোশ
পড়বে এবার খসে
ধন্যবাদ দেই করোনা তুই
বছর ভরে থাক
আমার দেয়া রিলিফ খেয়ে
পোলা বেঁচে খাক।



সা য়ী দ  আ বু ব ক র

কোভিড-১৯
মেশিনের মতো ছুটছিল
মানুষেরা। সে এসে বললো,
থেমে যাও। ফুটছিল
মুখেতে কথার খই।
সে এসে বললো, থেমে যাও।
থেমে গেল হৈ চৈ
তারপর সব থেমে গেছে।
স্তব্ধ হয়ে গেছে সব।
নেমে গেছে
নালাতে নেশার জল। হৈ চৈ, কলরব,
মিছিল, মিটিং, উল্লুকের হাসি
এবং আগ্রাসী
বিমানের চীৎকার-
নেই আর
থেমে গেছে সবই; শুধু
জেগে আছে আমাদের পুরনো হৃদয়,
যার মধ্যে খালি হলুদ আতঙ্ক, ধু- ধু-
ভয়
ভূতুড়ে মৃত্যুর।
আমাদের পিপাসার্ত কান
বিপন্ন বাতাসে খোঁজে এক সুর,
এক গান-
বৃষ্টির, শান্তির
এবং সমাপ্তি ভোগান্তির



আ তি ক  হে লা ল

সঙ্গ-নিরোধ
করোনায় করি সঙ্গ-নিরোধ
'
সঙ্গে' নাকি শত্রু, বিরোধ!
সঙ্গবিহীন অঙ্গ হলেই
সংক্রমণ হবে কি রোধ?

খাটের নিচে
খাটের নিচে সরকারি মাল,
তেলের খনি!
ধরা খেলেও হবে নেতার
প্রমোশনই!


ই ম রা ন  র হ মা ন
শুধু একবার স্পর্শ
 
শুধু একবার স্পর্শ
তারপর মরন
চাইনা বাঁচতে স্পর্ষহীন
হাজার বর্ষ ।


রে দ ও য়া নু ল  হ ক
রেদুমিক

১৩৭
ভালোবাসা মানে আজ দূরে দূরে থাকা
কেউ কারো কাছে আর
ঘুরে ঘুরে পাছে আর
নয় কোনো কবিতার সুরে সুরে থাকা
ভালোবাসা মানে আজ দূরে দূরে থাকা
একা একা সারারাত পুড়ে পুড়ে থাকা

১৩৯
সকলেই বলে আজ ঘরে থাকো
তবে যার ঘর নেই
আত্মীয়, পর নেই
তাকে আজ বলবো কি মরে থাকো?
সকলেই বলে আজ ঘরে থাকো
দাঁত-মুখ চেপে শুধু পড়ে থাকো

১৪০
চারপাশে
শুধু মৃত্যু মৃত্যু রব
দেখি না কোথাও
ফুলের ফোটাও
আহারে আহারে বেদনার উৎসব
চারপাশে শুধু মৃত্যু মৃত্যু রব
করো কি এখন জীবনের অনুভব?

১৪৩
নিজেকে
ভেবেছো কতোনা বিশাল হিরো
এবার দেখোনা
কাগজে লেখোনা
সামান্য এক করোনায় তুমি জিরো !
নিজেকে ভেবেছো কতোনা বিশাল হিরো
আঁধারে আঁধারে বাঁধাই কেবল গিঁড়ো

১৪১
ক্ষমা চাই হে প্রভু ক্ষমা চাই
দুনিয়ার পাপ ছাড়া
শোক-অনুতাপ ছাড়া
মনে হয় আর কিছু জমা নাই!
ক্ষমা চাই হে প্রভু ক্ষমা চাই
লালসার পথটাকে দমা চাই


নিঃ স ঙ্গ  আঁ ধা র  পৃ থি বী
তাজ ইসলাম

একটি মাতৃমমতা ডুকরে কাঁদছে
ছুঁইতে পারছে না নাড়িছেঁড়া কোমল মুখ
একটি প্রেমিক ঠোঁটের আর্তনাদে
আকাশ বিদীর্ণ হয়ে বৃষ্টি ঝরছে
চুমোতে করুণ করোনাতঙ্ক
একটি ভ্রাতৃ হৃদয়,একজোড়া সহোদরা চোখ
হায় হোসেন! হায় হোসেন! কারবালার শোকে মুহ্যমান
তবু একবার ছুঁইতে পারছে না
পরম মমতায় মৃত ভাইয়ের নিথর দেহ
যে বিলাপগুলো আছড়ে পড়ত
গগনবিদারী আর্তনাদে খাটিয়ার উপর
তারা এখন বারান্দার খুঁটির মত
শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে
করোনার করুন থাবায়
সমগ্র পৃথিবী এখন নিঃসঙ্গ আঁধার



র হ মা ন  মা জি দ
পাঁকে পড়া সময়

জীবন নদীর গভীর জলে
একটা গোপন পাঁক ছিল
দু'কুল জুরে সাপের মতো
হাজার হাজার  বাঁক ছিল
বাঁক পেরিয়ে পুকুর পাড়ে
ছোট ছোট ঘাট ছিল
মনের সবুজ বনের ধারে
ফল ফসলের মাঠ ছিল
মাঠের শ্যামল ঘাসের ডগায়
শিশির রোদে কাঁপছিল
ঝড় ঝরিয়ে বুনো বাতাস
জিহ্বা খুলে হাঁপছিল
মানুষগুলো পিঠে নিয়ে
রাস্তাগুলো হাঁটছিল
ঘাম জড়ানো পথের কপাল
রোদের জিভে চাটছিল
করোন কালের মরণ বিষে
ভবের ভূমি ভরছিল
লাখে লাখে কুলি মজুর
মধ্যরা সব মরছিল 



জা নে  আ ল ম
হাত দু-খানা ধুইলেই

দু হাত ধুয়ে সাফ করেছি
দু হাত বলে হায়
হৃদয় জুড়ে তোমার কেবল
ময়লা দেখা যায়
তোমার কলব জুড়ে দেখো
হাজার হাজার দাগ
অন্ধকারের প্রতি তোমার
আজও অনুরাগ
মনে তোমার লোভের বাসা
পাপের প্রতি ভালোবাসা
ভাবছো তোমার তরিকাটা হালাল
আসলেতো তুমি গোপন
অসভ্যতার দালাল
যারা মানুষ করছে খুন
তুমি তাদের গাচ্ছো গুণ
হাত দু খানা ধুইলেই কি
ময়লা সরে যায়
তুমি জেনো স্বচ্ছ হবে
চির দূষণ মুক্ত রবে
নিফাক ধূলো হৃদয় থেকে
যদি ঝরে যায়।



সু ল তা না  রি জি য়া
মহামারির ক্রান্তিকাল

তোমার কেমন থমকে থাকা পৃত্থি!
দিন রাত্রির আদিঅন্তে তো একই আছো
অকৃপণ জলহাওয়ায় থেমে নেই চৌদিক ফুলে ফলে সুশোভিত বৃক্ষ তরুলতাও
আমরাই কেবল থমক আছি অনিশ্চিত!
গৃহকোনে সুখ নেই, স্বস্তি নেই, সৃজন নেই, কর্মব্যস্ততা কিম্বা
                                                     গৃহস্থ যাপনও নেই
স্থবির শহর বন্দর লোকালয় নদীতট
অশরীরী আতঙ্ক সাঁতরায় আগে পিছে একটুকু ছোঁয়ায় হিম জমে মৃত্যুর কাফনে
আয়োজনও নেই নিথর অন্তিম শায়নে তুমি নির্বিকার!
অসহায় মানবতা!
স্বেচ্ছানির্বাসনে সমাজ সংসার সভ্যতা আজ পর্যুদস্ত মৃত্যর সাথে পাঞ্জা লড়তে
সংক্রমণ রোধের তরিকাও সুদূরপরাহত। শেষ সম্বল একমাত্র স্রষ্টার করুণা
এসো গাই জীবনের গান যাপন সংযমে যত্রতত্র অকারণ আষ্ফালন দাদাগিরি
দুর্বিনীত শোষণ লোভের পাতচাটা নির্মুল হোক মহামারির ক্রান্তিকালে


নি র্মা ল্য  ঘো ষ
আসুরিক

বিশ্ব এক করে দেওয়া করোনা ভাইরাসও পারেনি তোমাকে আমাকে মেলাতে...
বিচ্ছিন্নতা গভীর... মৃত্যু, আবেগ কোনো কিছুই অনুঘটক হয় না... 
মৃত্যুতেই সব শেষ ভাবা মানুষ কিছুতেই বুঝতে চায় না আমাদের মহামিলন...  
অনন্তে... অবিরাম... নিরবিচ্ছিন্ন.... আমাদের পুনর্জন্মের পৌন:পুনিক বৃত্তান্ত
তার অজানা নয়... তাই সিলেবাস পড়া শিক্ষিত প্রেম উপেক্ষা করা আমি...
মাক্সের আড়ালে খুঁজে বেড়াই তোমাকে.... শুধুই তোমাকে... তোমার অবয়বহীন দেহ...
সর্বগুণ সম্পন্না দুর্গা সৃষ্টি করা... আর করোনা ভাইরাস তৈরি এক নয়...
 ওখানে আছে আসুরিক বৃত্তান্ত... তুমি বুঝেও বুঝলে না


পা থ র  স ম য়
সিদ্দিক আবু বকর

আসলেই পাথর সময়
আসলেই কাতর সময়
আসলেই খুব
আসলেই ডুব
আসলেই বন্ধ
জগতের লুপ!
কাতর সময়
পাথর সময়।
চারদিক শুনশান
চারদিক চুপ
লাশঘর নিরবতা
ভয় ছুপ ছুপ!!


আ তি ফ  আ বু  ব ক র

মরণনাচের আসর

মরণনাচের চলছে আসর
আসর পেতে আড়তদার,
লুকোচুরির বাজনা বাজায়
আহ্ কী দারুণ চমক তার।
চমক জুড়ে দমক সুরে
গাইছে লোভী খুনের গান,
পেটের দায়ে মাথা পেতে
অসহায়ে বিলায় প্রাণ
নীতির বাজরা বোঝাই করে
ধর্মজীবী কিউট সব,
মত্ত আছে বাহাস নিয়ে
খুন আসরে মিউট সব।
মিউট আরো সুশীল চাড়াল
বন্ধ করে চোখের ফাঁক,
শুকতে আছে তেলের বোতল
ডুবিয়ে দিয়ে ঝোঁকের নাক 


লাগান এবার ত্রাণকাজে

ইফতারে নেই রমরমা সেই
হোটেল মোটেল বুফ পার্টি,
লোক দেখানো বাড়তি খরচ
পলিটিক্স আর ধুপ পার্টি।
নেই আয়োজন মাঠ মোড়ে
মাহফিল নামে প্যাক পার্টি,
কোরমা পোলাও বিরানি ভাত
ভোটে জেতার ব্যাক পার্টি
লোক দেখানো কেনাকাটা
হালিম ডালিম হাট বাজার,
বন্ধ সে সব জমায়েত
ভাজাপোড়ার ঘাট বাজার
ইফতারির ওই বাজেটগুলো
লাগান এবার ত্রাণ কাজে,
অভাবী সেই রোজাদারের
খুশ আয়োজন প্রাণ কাজে।



মে  খা য়ে
করোনার করুণা

করোনারও করুণা আছে
ধরা মানেই মরা না
পাষাণ দিয়ে গড়া না
ঘৃণায় হৃদয় ভরা না
ধরাকে জ্ঞান সরা না
কিন্তু কিছু লোকের কাছে
মানবতার মূল্য নেই
করুণা এক চুল্য নেই
সরসে সমতূল্য নেই
অন্তরে ফল-ফুল্য নেই
কিন্তু কিছু হৃদয় ভরা কহর পড়া কালো
কিন্তু কিছু অন্তরে নেই এতটুকু আলো


কৃ তি ক ণা
মুখোশহীন

মস্ত একটা জ্ঞানের ঝড় উঠুক
উড়িয়ে নিক রোগজীবাণুর ত্রাস
আলোর ভয়ে, আঁধারে মুখ ঢেকে
বিশ্ব ছাড়ুক করোনাভাইরাস

মুখোশ বিহীন রোদ মাখা সব মুখ
প্রাণের সুখে গাইবে জীবনের গান,
মনের জমিতে লাঙল টানবে কবি,
কোল ভরা হবে স্বপ্নসোনালী ধান!


R a i s a  K h a l e d
The Quarantine Door

The world is turning
The clock is ticking
But life doesn’t feel the same
The apprehension of
“What’s Next?”
Get all the blame.

Worried for family
Worried for the world
The mind is overwhelmed
Day and night teasing you
By passing slowly
Motivation slips away.

After a few days
Of moping about the situation,
You realize that life is just as good as it gets
Suddenly, the optimist
Comes knocking on your door,
Six feet away from you, of course

The optimist inside you makes you look
At your family
And at hope
After showing you these two things
The optimist leaves
But with the door wide open

It has opened your eyes
To spending time with your family
And getting to know them better
Working on stuff you never had time for
Having everything settle in while relaxing,
But then the realist walks in through the open door

As sudden as it came, it left
And you realize how selfish you are
Leaving you in shame
You were disappointed for canceled things to look forward to
While some people’s worlds
Are upside down

From the encounter with
The optimist and the Realist
Motivation finally decides to come in through the door once again
With a grateful heart
The confinement shows promise
To mold yourself and the world.



মে হে দী  হা সা ন  তা ল হা
করোনাকাল

পৃথিবীটা চুপচাপ লেগেছে অভিশাপ
করোনার ভয়ে যেন স্তব্দ,
পথঘাট ফাঁকা সব থেমে গেছে কলরব
মানুষেরা নিজ গৃহে রুদ্ধ।
আজ নেই কোলাহল থেমে গেছে কোন্দল
মানুষে মানুষে বেশ দুস্তি,
ভন্ডের মাজারে ছুটে যাই আহারে
মনে মনে পাবো তবে স্বস্তি।
মুখে মুখে মানবতা অন্তরে হিংস্রতা
চুষে খায় মানুষের রক্ত
সবশেষে প্রেসে এসে বলে যায় মৃদু হেসে
জনতার হলো তখত।
সবখানে দুর্নীতি, যেন মূলনীতি
মানুষের জাত হলো হারামি,
তাই আমি এসেছি, একে একে ধরেছি
মুছে দিতে যতো আছে গোড়ামি


       ছা ত্তা র
করোনা-সন্ত্রাস

করোনা তুমি শিং নাড়িয়ে ছুটছো বিশ্বময়;
তোমার ত্রাসে কাপছে সবায় সবার মনে ভয়
মানবতায় ধরছে কাপন তোমার শিং নাড়ায়;
মরছে মানুষ হাজার হাজার শহর গ্রাম পাড়ায় !
লেগেছে বিজ্ঞান তোমার পিছু করতে তোমায় নাশ;
বাহাদুরি থাকবেনা আর করবে তোমায় গ্রাস
চলুন মোরা মেনে চলি স্বাস্থ্য বিধি সবে;
জীবন মোদের রক্ষা পাবে শান্তি আসবে তবে


আ শু তো ষ  দা স
বাইরে যেতে  অনেক মানা

জিততে লড়াই  মুষ্টিবদ্ধ  হাত রেখেছি
আকাশজুড়ে  যুদ্ধ চলছে,
 ঝড় উঠেছে, বাইরে যেতে  অনেক মানা 
বাইরে কেবল আগুণ জ্বলছে

অসাধারণ  না হলেও  আমরা সৈনিক
যতই ক্ষত ঝরুক রক্ত,
টলছি  নাতো ঘরে বসে  যুদ্ধ নীতির
ছক ফেলেছি  ভীষণ শক্ত

মায়াজালে  অতি সূক্ষ  শত্রু বুঝি 
হাওয়ার ভেতর করছে লড়াই,
আমরা এখন এক সারিতে দ্বন্দ্ব-বিবাদ 
ভুলে গেছি নেইকো বড়াই। 

 মাতার অশ্রু মুছতে গিয়ে ফেলছি ঘরে 
যুদ্ধ জয়ের তাবু
মায়া খেলায় শত্রু কাছেই  তবু জানি
পারবে না আর কাবু। 

ভালোবাসার  বর্ম আছে  ছুড়ে দেই তূণ
হাতে আছে পতাকা উড্ডীন
মৃত্যু মিছিল রক্তঝরা যতই হোক
উঠবে আবার উদ্ভাসিত দিন


মোঃ  জা কি র  হো সে ন  ভূ ইঁ য়া
অদৃষ্টে বিপ্লবী
(প্রয়াত চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক মঈনউদ্দিন আহমদ স্মরণে)

চারদিকে নিষ্ঠুর হাহাকার,
সবই রয়ে গেল অব্যক্ত আমার।
শষ্কিত মনের মৃত্যু পরোয়ানা
কেড়ে নিলে আজ অজস্র সম্ভাবনা।
আজ দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে এই বাংলা,
নেই বেয়নট, নেই কামানে গোলা।
তব সাইরেনে বিপ্লবের গান করি,
কলম হাতে আজিকার অতন্দ্র প্রহরী।
দেশ জুড়ে আজ করোনা মহামারী।
বিপ্লবীর প্রয়ান, বাড়ছে আহাজারি।
অজস্র বিপ্লবীর প্রানের বিনিময়ে,
হোক নব যুগের সূচনা।
রাষ্টযন্ত্রের কাছে আর্জি মোদের সবিনয়ে,
এত অবহেলা আর মানবো না।


ই ম রা ন  শা হ্
ঘরে থাক

ঘরে থাক, ছবি আঁক
যা ইচ্ছে তাই
বাইরে গেলে বিপদ হবে
রক্ষা যে নাই

হাতের নাগাল পেলে তোমার
সেই সে করোনা
ভালো কিংবা মন্দ তুমি
ভুলেও ছাড়বে না

সংক্রমিত একলা হলে ভয়
ছিল না মোটেও
মারা পড়বে ঘর সুদ্ধ
বড় কিংবা ছোট। 

ঘরে থাক, নিজে বাঁচো
বাঁচাও সুন্দর ধরাকে
দুঃসময় কেটে গেলে হবে;
দেখা জীবন বাঁকে


আ ল  মা মু ন
করোনা

বাঁচতে হলে ঘরে থাকুন
ঘরে বসেই রবকে ডাকুন
রবের দয়া হলেই তবে
করোনা চির বিদায় নিবে
পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ
তাকেও মোরা দিবো সঙ্গ
করোনা বলো যাই বলো ভাই
এতো মোদের হাতের কামাই
মানুষ বদলেছে পশুতে
তাই মুসিবত দিয়েছেন মালিক সাঁই
করোনার এই ভয়াবহ সময়
যারা চাল চুরিতে মেতে রয়
তাদেরকে মানুষ বললে ভুল হয়,
তারা নরপশু বলবো নিশ্চয়
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি
বিনীত প্রাণের দাবি যথারীতি-
এই চোরদের হাত কাটুন যত্রতত্র
আমি দাবি করবো অবিরত
অনাহারে আছেন যতো গরীব মতি
আত্মকষ্টে ভুগছি দেখে তাদের দূর্গতি
বিনীত নিবেদন তাই বিত্তবানদের প্রতি-
সহযোগিতার হাত বাড়াবেন যথারীতি
আপনার এই সহযোগিতার উছিলায়
পরকালে নাযাত দিবেন আল্লায়


মু হা ম্ম দ  জা কি র  খা ন 
করোনা

ক্ষমা করো ওহে মালিক 
করছি বহু গোনাহ,
কত গোনাহ করছি আমি 
নাইত আমার জানা!

মহামারী এই ভাইরাসে
নিও না আমার প্রাণ,
যে মৃত্যুতে যায় না পাওয়া 
পরিবারের সন্ধান

হয়না নামাজ হয়না গোছল
এটা কেমন মৃত্যু
কবর ঘরেও যায়না সাথে 
কাফনের বস্তু!

অবহেলার এই মৃত্যু যেন 
হয়না প্রভু কারো,
করোনা' এই মৃত্যু থেকে 
রক্ষা মোদের করো

তোমার করুণা দিয়ে প্রভু
ধ্বংস করো করোনা,
পাপের জন্য এমন করে
আমাদেরকে মেরো না

তোমায় ছাড়া কেবা আছে 
শুনবে আমার ডাক,
কোথায় যাব কার দুয়ারে 
করলে তুমি রাগ?



লু ৎ ফু র  র হ মা ন  চৌ ধু রী  রা কি ব
কেউ কাউকে

করোনার জন্য পৃথিবীর কেউ কাউকে দিও না অভিশাপ
স্রষ্টা যখন দিলেন রোগ তিনিই তাঁর বান্দাদের করবেন মাফ
প্রায় সময় শুনা যেত মানুষের মাঝে জ্বর ,সর্দি তাপ
কখনো বুঝিনি এটাই হবে করোনা নামক সাপ
নানান জাতের মসলা দিয়ে বলেছি অনেক সংলাপ
মৃত্যু দুয়ারে এসে এখন দুনিয়া ছাড়তে দিচ্ছে চাপ
জেনে না জেনে কতো পাপের নদীতে দিয়েছি লাফ
এসো স্রষ্টার দুয়ারে ক্ষমা চাই দুনিয়ায় যত করেছি পাপ
জানি হে প্রভু আমরা কেউ নেই এই দুনিয়াতে নিষ্পাপ
আপনি একটু দয়া ধরলে বিশ্বের মানুষ পেতে পারে মাফ

তৌ ফি ক  হা সা ন
রহস্যময়ী কোভিড উনিশ

কেমন ভাইরাস?
সাড়া বিশ্বে ভয়াল মরণ ত্রাস !
করোনা ঘুরে বেড়ায় মৃত্যু পরোয়না নিয়ে,
কোভিড উনিশ রেখেছে কত রহস্য সাজিয়ে !

বিশ্বে কত যে পরিবার-হলো মূহুর্তেই নিঃশেষ
করোনা কত স্বপ্নে ধরালো জং,
অন্ত বিষের আধার-কোভিড উনিশ করোনার 
বৈশিষ্ট্যই ঘন ঘন বদলানো রং !

বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীর অবিরাম শত চেষ্টা
ভাইরাসের বৈশিষ্ট উদ্ধারে গলদঘর্ম,
ক্ষণে ক্ষণে স্বরূপ বদলে মেলে না শেষটা
কিভাবে তৈরী জীবন রক্ষা মানব বর্ম ?

আশা-শীঘ্রই হবে তৈরী সঠিক ভ্যাকসিন
বিজ্ঞানের জয়গানে মুখরিত বিশ্ব,
বিধাতার আশীর্বাদেই প্রতিরোধে একতা 
থামাবে ভয়াল করোনা বিণ
আর কোনো ঘরই হবে না নিঃস্ব


লা ভ লী  ই স লা ম
মরণব্যাধী

তোর ঘরে আছে তালা হাতে আছে চাবি
বাইরে ঘুরে রোগ জ্বালা কোথায় তুই যাবি?
ভেবে দেখ রে বুঝে কি দিবি জবাব
জীবন দিবি নিজে এই কিরে স্বভাব?
আনবি সাথে করোনা মরণব্যাধী নাম
ছুয়ে দিলে বুঝবি না মৃত্যু পরিণাম
কয়টা দিন সবুর কর ঘরে দিয়ে তালা
কষ্ট করে ধৈর্য্য ধর যাক চলে রোগ বালা


 আ ই  টি পু
থামবেনা করোনা

ইতালির গির্জা থেকে উপহারটি সরাও
মোহাম্মদ রাসুলের পুষে এবার তবে ডরাও
নয়তো আজ এতো সহজে করোনা থামবে না,
তোমাদের শরীরের ঝরে ভাইরাস নামবেনা।
ইসলামের ইতিহাস শুনে আজ আতংকে মনে
জেনে রেখো ওহে মোমিন স্মরণীয় জনমনে
খ্রিষ্টান তোরা দেখে নেয় নতুন করে আবার,
গির্জার ইতিহাস ইসলাম নিয়ে হবে কাবার।
যেই নবীকে নিয়ে তোরা করতে গেলে তামাশা
এখন তোদের দুনিয়াতে শুরু হয়েছে আমাশা।
বুঝলিনারে গির্জার মানুষ রাসুল নবীর নাম,
আজকে সবাই দিয়ে যাবে অত্যাচারে তবে দাম।
মহানবীর নামখানি ভাই রাখেন রবের সাথে,
জগতবাসী আজকে দেখো প্রমাণ দেখো রাতে।
ইতালিয়ান মুখ্য মানব রহম দরজা বন্ধ,
তোদের জন্য চারপাশে আধার রূপে অন্ধ।
তোদের ঘরে এখন তবে লাশের মিছিল শুরু,
এখন তোরা কবুল করে নেবে রাসুল গুরু


ব দ রু ল  হ ক  ত প ন
করোনা থেকে রক্ষা

করোনা থেকে রক্ষা পেতে যদি চাই,
'টা দিন সবাই ঘরে থেকে যাই।
সব কাজের শুরুতেই হাত ধুয়ে নেই,
যত পারি তত ধুই কোন বাঁধা নেই
হাঁচি কাশি হলে পরে রুমালটা ব্যবহার করি,
ঘর থেকে বের হলে মাস্ক যেন পড়ি।
সামাজিক দূরত্ব সবে মেনে যদি চলি,
করোনা' ভয় নাই সেটা মোরা জানি।
হলে ভাই করোনা রক্ষা তো নাই,
দূরত্বটা মেনে তাই রক্ষা পেতে চাই।
ঘরে বসে লিখি চল ছড়া আর কবিতা,
ছোট ছোট কাজ করি কেটে যাবে সময়টা।
প্রার্থনায় দেই মন ঘরে বসে ভাই,
স্রষ্টা খুশী হলে ভয় কোন নাই।
যদি পারি গরীবেরে দেই কিছু খাদ্য,
সমাজের কাছে মোরা কিছু দায়বদ্ধ।
ঘরে বসে অপেক্ষা করি যদি ভাই,
করোনা থেকে রক্ষা পাবো সবাই।
এসো সবে ঘরে থাকি নেই কোন ভাবনা,
একদিন করোনা নিশ্চয় থাকবেনা।


মোঃ  জি শা ন   আ হ মে দ   স র কা র
ক্ষমা কর প্রভু

হে আল্লাহ আমরা তো পাপী হাত তুলি দরবারে তোমার
মাথা নত করে আজ করছি আরধোনা বার বার
আমাদের অপরাধে তুমি আযাব দিয়েছো করোনা
গাফ্ফার নামের উছিলায় মাফ করতে কি পারোনা ?
ভয়ে আতংকে দিশেহারা আমরা করছি হাহাকার
তুমি ছাড়া মুক্তি দেয়ার বলো সাধ্য আছে কার
গুণাহ্ করি, পাপ করি স্বজ্ঞানে করি স্বীকার
নিরাশ হইনি তুমি আছো আছে করুণার আধার
তুমি ডেকেছো ভালো কাজে আমরা সাড়া দেইনি,
সে রাগে আজ তোমার রহমত পাইনি
 ডেকেছো মসজিদে  বার বার বলেছি সময় নাই
তোমার নিকট কিভাবে আজ বল আশ্রয় চাই
বলেছো কুরআনে বার বার লা- তাকনাতু মির্ রাহমাতিল্লাহ্,
সেই আশায় ফরিয়াদ করছি ক্ষমা করো হে আল্লাহ
 
লা য় লা  আ হ মে দ  সে লি না 
মুশকিল-আসান

করোনা মানে মুকুট দেখতে তুই কদম ফুলের মতোন্...
এতো সুন্দর উপাধি তোর....
ছোঁয়াচে শক্তিশালী তুই জীবন হয় বিপন্ন!
চীনের উহান প্রদেশে তোর আগমন,
পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই পুরো বিশ্ব গমনাগমন।

পৃথিবী তোর হাতের মুঠোয় হয়েছে কঠিন পীড়িত!
মিছিল মিটিং নেই রক্তপাত বিনা রণে করে যাচ্ছিস যুদ্ধ!

রাস্তা ঘাট জনশূন্য ভূতুড়ে নগরী.....
গোটা বিশ্বকে তোলপাড় করে তুই কেনো আছিস অদৃশ্য?

মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা,গীর্জা, আজ বন্ধ!
হোম কোয়ারেন্টাইনে বন্দী সকল নারী পুরুষের মাঝে বেঁধে দিচ্ছিস্ দ্বন্দ্ব।

গরীব মরছে ধুঁকে ধুঁকে, মধ্যবিত্তরা মরছে চক্ষু লজ্জায়, বড়ো লোকেরা উদবেগ....
ধনসম্পদের পাহাড় গড়ে পাচ্ছে না উপায়!

একজন উপর থেকে নাড়ছেন কলকাঠি....
তিনি পারেন সব সমস্যার সমাধান,
আল্লাহর কাছে দু'হাত তুলে মোনাজাতে চাও পানা....
গজব থেকে চাও মুক্তির পরিত্রাণ!

অদেখা ভাইরাসের কাছে হারবো না মোরা....
খোদা মোদের ঠিকই করবেন মুশকিল- আসান


মো.  শা মী ম  হো সে ন
ভাগ্যে আছে কিযে

চলছে এখন মহামারি সারা বিশ্বজুড়ে
চলতে হবে একে অন্যের তিনফুটের ন্যায় দূরে।
হাত দেবেন না যত্রতত্র নিজের নাকে মুখে,
ভালো করে ধুয়ে নেবেন থাকতে হলে সুখে।
হাঁচি-কাশির সাথে যদি গলায় ব্যাথা লাগে,
পরীক্ষা যে করতে হবে ঔষুধ খাবার আগে।
মাস্ক না পরে বন্ধ চলা বাসায় কিংবা হাটে,
ঘেঁষাঘেঁষি এড়িয়ে চলুন কল পুকুরের ঘাটে।
করোনাতে আক্রন্ত কে সবার ছোঁয়া মানা,
সবাই সবার রবের কাছে আর্জিতে চান পানা।
এই রোগ হতে মুক্তি পেতে সচেতন হোন নিজে,
জানি না এর পরিণতি ভাগ্যে আছে কি'যে?


আ তা উ ল  ই স লা ম  স বু জ
ঘুম নেই

লকডাউনে ঘুম লো 
দুরন্ত এক পাখি
শুয়ে সে থাকতে থাকতে 
শুধুই দেয় ফাঁকি।
দিন যায় রাত সে 
ভাবি ঘুম বে
লোমেলো চিন্তাগুলি 
কখন এই বিপদে যাবে।
রাত যত ভীর হয় 
 চিন্তা তত বাড়ে
কিছুতেই ঘুম সে না 
ঘুমগুলিরে মারে।
উদাস ভরা দৃষ্টি দিয়ে 
আঁধার ঘর দেখি
নানা চিন্তা ঘোরপাক খায় 
ঘুম সেনা সেকি!
আঁধার কেটে ভোর সে 
খোলা চোখ যার
না ঘুমানোর কষ্ট কেবল 
শুধুই একা তার।
লকডাউনে ড়ে আজ 
এই কি দশা লো
সারা বাংলার জনগণের 
সুখ যে কোথায় গেলো!


মা হ মু দু ল  হা সা ন  খো ক ন
করোনা দূর করো

এক করোনা হামলা দিলো মানবজাতির মাঝে
কেউ নিরাপদ নয়তো ভবে সকাল দুপুর সাঝে
রব দিয়েছেন এই করোনার মাধ্যমে এক ব্যাধি
মরণের ডাক আসছে জানি চব্বিশ ঘণ্টাব্যাপী।
আল্লাহ সহায় হও আমাদের আর দিও না কভূ
মাফ করে দাও জীবন তরে আমরা পাপী তবু।
বাঁচাও তোমার মহান দয়ায় করোনা দূর করো
আসতে ফিরে সত্যের পথে হৃদয়কে নূর করো।




মোঃ  লি ট ন  স র কা র
ধ্বংসাত্মক করোনা

ধরনির বুকে আঘাত হানিয়া ঘুরিয়া মানব প্রানে,
কতশত নীর দিয়াছো ভাঙ্গিয়া  মৃত্যু তোমার ঘ্রানে
করেছো শান্ত ফেলিয়া ভ্রান্ত জুড়িয়াছ রাজ্য শাসন,
অবলিত প্রান মৃত্যুর ঘ্রান গড়িয়াছো দানব আসন

সিংহের শিকার হরিণী যেমন গর্তে লুকাইয়া পরে,
খাওয়া দাওয়া সব ভুলিয়া গিয়া মৃত্যুর ঝুঁকিতে লরে
গরিব অসহায় নেতারা সহায় সুযোগ লুটিতে চায় ,
অভাগা দুঃখি গরিব মুখি পাল ছেড়া সে নায়

রোগা সোগা দেহে করুন সুরে দুমুঠো ভাতের আশে,
করোনা ডরিনা খেয়েই মরিনা কাজ দাওনা চাষে?
নয়তোবা দাও দুমুঠো ভাতে বালবাচ্চার তরে
মাঠে নেই চাষ অলিতে গলিতে গ্রাস চাল চুলো নেই ঘরে

জীর্ণ শীর্ণ জীবন আহা হাহাকার কুঁড়ে ঘরে,
শয়ে শয়ে লোক কাফন ছাড়া একসাথে  মরে
দেখিয়া কত আহাজারি মা পুত্র ছটফটায়,
একে একে সব জীবনের টানে লাশটা নাহি পায়

মৃত্যু রাজ্যে করোনা ধরেছো রাজ্য শাসন হাল,
প্রবিন নবিন শিশু বৃদ্ধ ফেলিয়া মরন জাল
কেউবা কাঁদে খেয়ে না খেয়ে কেউবা হারানো ব্যাথায়,
ফরিয়াদ করি খোদার তরে মাফ করো জামানায়


২টি মন্তব্য: